আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পাবনা শহরে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলিতে ৮ জন গুলিবিদ্ধ হওয়ার ২৪ ঘন্টাও মামলা হয়নি। এঘটনায় এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার দাবিতে শহরে বিক্ষোভ প্রদর্শন এবং মহাসড়ক অবরোধের হুঁশিয়ারি দিয়েচেন ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মীরা।
রবিবার (১ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে পাবনা শহরস্থ জেলা স্কুলের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে মিছিলটি পাবনা শহরের প্রধান সড়ক আব্দুল হামিদ রোড প্রদক্ষিণ করে ট্রাফিক মোড় ঘুরে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।
সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ–সভাপতি মেহেদী হাসান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। হামলাকারীরা চিহ্নিত, তবুও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের গ্রেপ্তার করা না হলে ঢাকা–পাবনা মহাসড়ক অবরোধ করা হবে।’
এদিকে এঘটনায় এখনও পর্যন্ত মামলা দায়ের হয়নি এবং কাউকে গ্রেপ্তারও সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মাসুদ আলম। তিনি জানান, ভুক্তভোগী পরিবারকে সন্ধ্যায় থানায় ডাকা হয়েছিল। এখন তারা আসেনি। মামলার প্রস্তুতি চলছে। ঘটনার পর থেকেই পুলিশি অভিযান চলছে। তবে এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।’
এর আগে শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে পাবনা বাস টার্মিনালের মাসুম বাজারের সামনে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে ছাত্রলীগকর্মী মিলন, শান্ত, আকাশ, আরাফাত, সজীব, তানজিদ, রঞ্জু ও রাফি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহতদের মধ্যে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানিয়েছে, সম্প্রতি পাবনা মহিলা কলেজের সামনে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ–সভাপতি মেহেদী হাসান এবং পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইফতে আরাফাত সিফাত গ্রুপের মধ্যে মারামারি ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। পাশাপাশি অফিস হওয়ায় রাত ১০টার দিকে মেহেদী গ্রুপের লোকজন সিফাতের অফিসের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে মেহেদী গ্রুপের ৮ জন গুলিবিদ্ধ হোন।
এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজ বলেন, ‘সিফাতের লোকজন মেহেদীর লোকজনের ওপর হামলা করেছে। তাদের মধ্যে আগে থেকেই ঝামেলা চলছিল। আমরা বারবার গিয়ে সমাধান করলেও কয়েক দিন পর আবারও তারা ঝামেলায় জড়ায়।
তবে আগে হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন পাবনা পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইফতে আরাফাত সিফাত। তিনি বলেন, ‘আমি আমার অফিসের মানে দাঁড়িয়ে মোবাইলে কথা বলছিলাম। এ সময় হঠাৎ ২০–৩০ জন লোক নিয়ে মেহেদী আমার ওপর হামলা করে গুলি করে। এতে আমি কোনো মতে প্রাণে রক্ষা পেয়েছি।
শামসুল আলম/মোরশেদ আলম/দীপ্ত নিউজ