খুলনার পাইকগাছা উপজেলায় চোখে ও মুখে আঠা লাগিয়ে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে উপজেলার রাড়ুলী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সোমবার ভুক্তোভোগীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের ওয়ান–স্টপ ক্রাইসিস সেলে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, রবিবার রাতে মই দিয়ে ওই বাড়ির ছাদে উঠে দুবৃর্ত্তরা। তারপর সিঁড়ির দরজা ভেঙে গৃহবধূর কক্ষে প্রবেশ করে। স্বামী ব্যবসার কাজে বাইরে থাকায় তখন বাড়িতে একা ছিলেন গৃহবধূ। দুর্বৃত্তরা তার হাত–পা বেঁধে, চোখে আঠা লাগিয়ে ধর্ষণ করে। তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে, কান থেকে স্বর্ণের দুল ছিঁড়ে নিয়ে যায়। প্রথমে গৃহবধূকে পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
গৃহবধূর স্বামী বলেন, বাড়ি আমার একতলা। ছাদের সিঁড়িঘর খোলা ছিল। ওরা মই দিয়ে ছাদে ওঠে। ঘরে ঢুকে আমার স্ত্রীর চোখ–মুখ আঠা দিয়ে আটকে দেয়। সে কথা বলতে পারছে না, তাই কয়জন চোর ছিল এখনই বলা যাচ্ছে না।
পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবায়দুর রহমান বলেন, হাত পা বাঁধা অবস্থায় গৃহবধূকে পাওয়া যায়। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
এজে/ আল / দীপ্ত সংবাদ