খাগড়াছড়ি জেলায় অষ্টম শ্রেণির সেই মারমা স্কুলশিক্ষার্থীর স্বাস্থ্য পরীক্ষায় ধর্ষণের কোনো আলামত
পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন মেডিকেল বোর্ড নেতৃত্বে থাকা চিকিৎসক।
খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনি) ডা. জয়া চাকমা, ডা. মীর মোশাররফ হোসেন ও ডা. নাহিদ আক্তার সমন্বয়ে মেডিকেল টিম এ পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে।
চিকিৎসক দল প্রধান সিনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনি) ডা. জয়া চাকমা বলেন, ওই শিক্ষার্থীর মেডিকেল পরীক্ষার ফলাফলে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। সব ধরনের পরীক্ষা–নিরীক্ষা করেছি। ধর্ষণের আলামত পরীক্ষার ১০টি সূচকের প্রতিটিতে ‘স্বাভাবিক’ উল্লেখ রয়েছে।
খাগড়াছড়ি সিভিল সার্জন ডা. ছাবের আহমেদ জানান, প্রতিবেদনটি পুলিশ সুপার কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল বলেন, প্রতিবেদন মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) পেয়েছি। ভুক্তভোগী স্কুলশিক্ষার্থী শরীরের ভেতরে ও বাইরে ধর্ষণের কোনো চিহ্ন মেলেনি।
তিনি আরও বলেন, ধর্ষণের অভিযোগ থেকে খাগড়াছড়িতে ছড়ানো সহিংসতা ‘পরিকল্পিত’। পরিকল্পিত সহিংসতায় ৩টি জীবন ঝরে গেছে, যা খুবই দুঃখজনক।
এদিকে, খাগড়াছড়ি সেনানিবাসে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসান মাহমুদ বলেন, ধর্ষণের ঘটনাকে পুঁজি করে ইউপিডিএফ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করছে, যা বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ।
এসএ