খাগড়াছড়িত স্কুলশিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে ‘জুম্ম ছাত্র–জনতা‘র ডাকে চলছে সকাল–সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ভোর ৫টা থেকে শুরু হওয়া এই অবরোধ চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
অবরোধের কারণে খাগড়াছড়ির সঙ্গে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাঙামাটির সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এছাড়া খাগড়াছড়ি জেলা সদরের সাথে দীঘিনালা, পানছড়ি, রামগড়, মহালছড়িসহ ৯ উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এতে স্থানীয়দের পাশাপাশি বিপাকে পড়েছেন পর্যটকরা।
এদিন খাগড়াছড়ি শহরের প্রবেশ মুখ চেঙ্গী ব্রিজ ইউনিয়ন পরিষদ এলাকা, চেঙ্গী স্কয়ার ও নারায়ণ খাইয়া মুখ এলাকায় সড়কে আগুন জ্বালিয়ে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে অবরোধকারীরা।
এ ছাড়া গাছের গুঁড়ি ও ইট ফেলে এবং টায়ার জ্বালিয়ে খাগড়াছড়ি–দীঘিনালা, মহালছড়ি, পানছড়ির অভ্যন্তরীণ সড়ক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এতে ঢাকাসহ দূরপাল্লার নৈশ কোচের অনেক গাড়ি বিভিন্ন স্থানে আটকা পড়েছে।
খাগড়াছড়ি সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধা বলেন, সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা করা হলেও তা সরিয়ে দিতে কাজ চলছে। বিভিন্ন পয়েন্টে পু্লিশ মোতায়েন রয়েছে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) খাগড়াছড়ি সদরের সিঙ্গিনালা এলাকায় এক স্কুল ছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) থেকে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে জুম্ম ছাত্র–জনতা নামে একটি সংগঠন। এ সংগঠনের ডাকে বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) আধাবেলা সড়ক অবরোধ পালিত হয়। গতকাল (২৬ সেপ্টেম্বর) সমাবেশে আজকের অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা হয়। জুম্ম ছাত্র–জনতার এ আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করেছে ইউপিডিএফ সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও গণতান্ত্রিক যুবফোরাম।
এসএ