গাভী কিংবা ছাগী নয় দুধ দিচ্ছে পাঠা। এমন ঘটনা ঘটেছে কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার ২১ নং ওয়াডের নগরমোহাম্মদপুর ক্যানেলপাড়া এলাকায়।
আবুল কাশেম দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে ছাগল প্রজনন সেবা দিয়ে আসছেন এই এলাকায়। শুধু ছাগল প্রজনন সেবাই নয় তিনি তার পাঠা চট্টগ্রাম সহ দেশের বিভিন্ন জেলাতে বিক্রি করেন থাকেন। তবে তার পাঠা ছাগলটি থেকে প্রতিদিন আধা কেজি করে দুধ সংগ্রহ করেন তিনি। অনেকেই শখ করে খাচ্ছেন এই দুধ, আবার বাসা–বাড়ির জন্য নিয়েও যাচ্ছেন অনেকেই। আবুল কাশেমের এই পাঠা ছাগলটি দেখতে খামারে প্রতিদিন উৎসুক মানুষ ভিড় করছে।
তবে খামারির স্ত্রী সেলিনা বেগম বলেন, পাঠা ছাগলটির বয়স তিন বছর এতদিন আমরা দেখি নাই তার ওলান আছে। এক সপ্তাহ আগে আমরা বুঝতে পারি আমাদের পাঠা ছাগলটির উলান আছে। এবং ওলান চাপ দিলে দুধ পড়ছে পাঠা ছাগলের।
পাঠা ছাগলটি দেখতে আসা মানুষ বলছে এমন বিষয় এর আগে কখনো আমরা দেখি নাই। আমরা জানতাম পাঠা ছাগল শুধু প্রজনন সেবাই ব্যবহার করা হয়। এটি আমাদের কাছে অলৌকিক ঘটনা বলে মনে হচ্ছে।
তবে পাঠা দেখভাল করা চিকিৎসক বলছেন এটা কোন অলৌকিক ঘটনা সে আগে দেখেনি। তবে চিকিৎসা বিজ্ঞানে প্রাণীর হরমনগত পরির্বতনে ফলে ঘটতে পারে এমন ঘটনা।
দেবেশ/আল