বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে জ্বালানী তেলবাহী একটি জাহাজের ইঞ্জিন রুমে বিস্ফোরণে দুইজন নিহত হয়। এ ঘটনায় এক শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ মে) বিকেল পৌঁনে ৫টার দিকে কীর্তনখোলা নদীর পূর্ব পাশে চরকাউয়া পয়েন্টে নোঙ্গর অবস্থায় এমটি এবাদী–১ নামে ওই অয়েল ট্যাংকারে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
এ পর্যন্ত স্বাধীন ও বাবুল নামে দুই জনেলাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। কামাল, কুতুব ও রুবেল নামে ৩ শ্রমিককে মুমূর্ষ দ্বগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। কাশেম নামে এক শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছে। ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণ করেছে। জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চট্টগ্রাম থেকে এমটি এবাদী–১ নামে ওই অয়েল ট্যাংকারটি ১৩ লাখ টন ডিজেল ও পেট্রোল নিয়ে ৩ দিন আগে বরিশাল আসে। তেল খালাসের সিরিয়াল না পাওয়ায় ৩ দিন কীর্তনখোলা নদীর পূর্ব পাশে চরকাউয়া পয়েন্টে নোঙ্গর করে রাখা হয় জাহাজটি। বিকেল পৌঁনে ৫টার দিকে তেল খালাসের সিরিয়াল পেয়ে জাহাজটি নদীর পশ্চিমপাশে মেঘনা অয়েল ডিপোর জেটিতে যাওয়ার জন্য ইঞ্জিন স্টার্ট করে। মুহূর্তে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয় জাহাজের ইঞ্জিন রুমে।
আশেপাশে থেকে আগুন এবং ধোয়া দেখে নদীর দুই তীর থেকে মানুষ ছুটে যায় জাহাজের কাছে। কিন্তু আগুনে জাহাজের বডি গরম হয়ে যাওয়ায় কেউ জাহাজে গিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করতে পারেনি। খবর পেয়ে ফায়র সার্ভিসের একটি দল ক্ষতিগ্রস্থ জাহাজে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে।
জাহাজে মোট ১৬ জন শ্রমিক থাকলেও ইঞ্জিন রুমে ৬ জনের ডিউটি ছিলো। শ্রমিকদের বেশীরভাগের বাড়ি চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায়।
ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করার কথা জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্থ ও হতাহতদের পরিবারকে সার্বিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
এর আগেও বরিশালে জ্বালানী তেলবাহী জাহাজের ইঞ্জিন রুম বিস্ফোরণে ৬ শ্রমিক নিহত হয়।
আফ/দীপ্ত সংবাদ