যদিও আমার আমার মেক–আপ কিটে সবই রয়েছে, কিন্তু ব্লাশ কীভাবে লাগাব ঠিক বুঝতে পারি না। তাছাড়া ব্লাশ তো অনেকরকমের হয়। আমার জন্য সঠিক ব্লাশ কীভাবে বেছে নেব? পোশাক, লিপস্টিক বা আইশ্যাডোর সঙ্গে কি ব্লাশ ম্যাচ করে লাগানো উচিত? আমার গায়ের রং ফরসার দিকে। আমাকে কী ধরনের ব্লাশ লাগালে ভাল লাগবে, জানাবেন।
সঠিক ব্লাশ কীভাবে বাছবেন
স্কিন টাইপ: ব্লাশ বেছে নিতে হয় স্কিন টাইপ অনুযায়ী। আপনি জানাননি আপনার স্কিন টাইপ কীরকম। স্বাভাবিক ত্বক হলে বেছে নিতে পারেন পাউডার ব্লাশ। ত্বক শুষ্ক হলে পাউডার ব্রাশ এড়িয়ে চলুন। শুষ্ক ও মিশ্র ত্বকের জন্য আদর্শ ক্রিম ব্লাশ। এছাড়া ভাল জেল, টিন্ট বা লিক্যুইড ব্লাশ সবরকম ত্বকেই ব্যবহার করা যায়।
স্কিনটোন: নিজের স্কিনটোনের সঙ্গে ম্যাচ করেও ব্লাশ কেনা জরুরি। আপনার গায়ের রং ফরসা। আপনাকে পিঙ্ক বা কোরাল শেডের ব্লাশ ভাল লাগবে। ডার্ক শেডের ওয়াইন বা বারগান্ডি রং এড়িয়ে চলুন। লিপস্টিক এবং আইশ্যাডোর রঙ বা টোনের সঙ্গে ম্যাচ করে ব্লাশ লাগালে দেখতে ভাল লাগবে। লিপস্টিক লাল হলে লালচে বা গোলাপি টোনের ব্লাশ বাছুন।
ঋতু অনুসারে: শীতে ব্রাইট রং বেশি ভাল লাগে। গরমের সময় একটু লাইট শেড, ন্যুড কালার বেছে নিন।
ব্লাশ কীভাবে লাগাবেন
প্রথমে বেস মেক–আপ করে নিন। বেস মেক–আপ মুখে ঠিকভাবে বসার পর ব্লাশ লাগাতে হবে। পাউডার ব্লাশ লাগানোর ক্ষেত্রে প্রথমে ব্রাশে পাউডার ব্লাশ নিন। অতিরিক্ত ব্লাশ ব্রাশ থেকে ঝেড়ে ফেলুন। এবার আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে হাসুন। আপনার গালের ফুলে ওঠা অংশে ব্লাশ লাগান। ব্লাশ লাগানোর সময় স্ট্রোক যেন ঠিক হয়। নাক থেকে কান পর্যন্ত অংশে আউটওয়র্ড মুভমেন্টে ব্লাশ লাগান। ব্লাশ বেশি হয়ে গেছে মনে করলে টিসু পেপার দিয়ে হালকা প্যাট করুন। এতে ব্লাশ একশেড হালকা হবে। যদি ক্রিম বা লিক্যুইড ব্লাশ লাগান, তাহলে ব্রাশে বা আঙুলের ডগায় ব্লাশ নিয়ে একইভাবে গালে লাগান। ভাল করে ব্লেন্ড করুন। ব্লাশের সাহায্যে মুখে সুন্দর শেপ আনা যায়। যেমন, আপনার মুখ যদি গোলাকার হয় তাহলে কানের কাছের অংশে একটু বেশি ব্লাশ লাগান। আর গাল উঁচু বা হাইচিকবোন হয় তাহলে মুখের মাঝের অংশে ব্লাশ লাগান। তবে ব্লাশ লাগানোর সময় খুব সতর্ক থাকবেন। কারণ, মুখের ভুল জায়গায় ভুল শেডের ব্লাশ কিন্তু খুঁতগুলো আরও প্রকট করে তুলতে পারে পারে। খেয়াল রাখুন ব্লাশ যেন মুখের মেক আপের সঙ্গে ভালভাবে ব্লেন্ড করে। না হলে মেক আপ উগ্র দেখাতে বাধ্য।
সুপ্তি/ দীপ্ত সংবাদ