আমরা নিম্নস্বাক্ষরকারীগণ জাতীয় সংসদীয় আসন–২৯৪, কক্সবাজার–১ (চকরিয়া–পেকুয়া) আসনের অন্তর্গত চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিবৃন্দ। আগামী ০৭ জানুয়ারী ২০২৪ খ্রিঃ অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচন সম্পন্ন করা বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অন্যতম চ্যালেঞ্জ।
একই সাথে বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা জাতীকে একটি নিরপেক্ষ, অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন উপহার দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ ও দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আমরা সে লক্ষে নিজ নিজ এলাকায় আমাদের পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনী কাজ করে যাচ্ছি। একই সাথে সর্বোচ্চ সংখ্যক ভোটারকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে প্রচার প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছি। যা পরোক্ষ ভাবে নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্যের সহায়ক। কিন্তু পরিতাপের সাথে জানাচ্ছি যে, বর্তমান সংসদ সদস্য জাফর আলম বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ট্রাক গাড়ী প্রতীক নিয়ে কক্সবাজার–১ (চকরিয়া–পেকুয়া) আসনে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করে যাচ্ছেন। তার বিপরীতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান হাতঘড়ি প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য পদে উক্ত আসনে প্রতিদন্দ্বী প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে প্রচার–প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এমতবস্থায়, বর্তমান সংসদ সদস্য ও ট্রাক গাড়ী প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী জনাব জাফর আলমের পক্ষে নির্বাচনে অংশগ্রহণ বা কাজ না করায় এবং বিপক্ষের হাতঘড়ি মাকরি প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী কাজে অংশগ্রহণ করায় তিনি নিজে এবং তাহার গঠিত নিজস্ব সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনী দ্বারা অবৈধ অস্ত্রের ভয়ভীতি প্রদর্শণ করে শুম ও হত্যার হুমকি প্রদান করে যাচ্ছেন। এছাড়াও তার উচ্ছৃংখল কর্মী বাহিনী দ্বারা হাতঘড়ি প্রতীকের নির্বাচনী পোষ্টার, ব্যানার, লিফলেট ও পেস্টুন সব জায়গায় ছিড়ে ফেলা হচ্ছে। এমনকি ব্যানার, পোষ্টার, পেটুন লাগাতেও বাধা প্রদান করা হচ্ছে। যাহা তথ্য নর্ভর প্রমাণ রয়েছে। যাহা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহান সংবিধান কর্তৃক স্বীকৃত মৌলিক অধিকারের সুস্পষ্ট লংঘন। উপরন্তু এ ধরনের হুমকি প্রদর্শন, চাপ প্রয়োগ সহ নির্বাচনী সরঞ্জাম ছিঁড়ে ফেলা ও লাগাতে বাধা প্রদানের মত অপতৎপরতা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথে বড় অন্তরায় এবং আমরা জনপ্রতিনিধিগণও চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
অতএব, এমন ভীতিকর পরিস্থিতি ও নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে জন্মনের সংশয় দূর করতে কক্সবাজার–১ আসনে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে জনগণ ও জনপ্রতিনিধিদের নিরাপত্তা বিধান ও হয়রানিরোধে উল্লেখিত অভিযোগ যাচাই স্বাপেক্ষে পরবর্তী কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।
আল/ দীপ্ত সংবাদ