ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ। ১৯৭১ সালের এই দিনে শপথ নেয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার। ত্যাগ ও রক্তের ইতিহাসের মাইলফলক একাত্তরের ১৭ এপ্রিল। যুদ্ধের মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যে দেশের অভ্যন্তরে নতুন সরকার শপথ গ্রহণ ত্বরান্বিত করে বাঙালির বিজয়কে।
মুক্তিযুদ্ধ শুরুর ২৩ দিনের মাথায় শপথ নেন বাংলাদেশ সরকারের নবগঠিত মন্ত্রিসভার সদস্যরা। তখন বাংলাদেশের অভ্যন্তরে চলছে তুমুল যুদ্ধ। বাংলাদেশের সীমানার মধ্যেই কড়া নিরাপত্তায় সেদিন শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। কারণ দুইদিন আগে চূয়াডাঙ্গায় শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের খবর ফাঁস হওয়ায় সেখানে বিমান হামলা করে পাকিস্তান বিমানবাহিনী। তাই ১৭ এপ্রিল শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের জন্য বেছে নেয়া হয় সীমান্তবর্তী মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার আমবাগান।
সেদিনের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের সংবাদ সংগ্রহ করেন শতাধিক দেশি–বিদেশি সাংবাদিক। বাংলাদেশ সরকারের ব্যবস্থাপনায় সাংবাদিকদের কলকাতা প্রেসক্লাব থেকে মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলায় নেয়া হয়। সেখানে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের চিফ হুইপ অধ্যাপক ইউসুফ আলী।
আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ ৫ নেতাকে নিয়ে গঠিত মন্ত্রিসভার সদস্যরা শপথ নেন। রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী থাকায় ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম। তিনি বাঙালির মুক্তিযুদ্ধে বিশ্ববাসীর সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার গঠনের পর মুক্তিযুদ্ধের সফল সমাপ্তিতে বাঙালি অর্জন করে স্বাধীনতা।
আল / দীপ্ত সংবাদ