চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা আজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে। সকাল ১০টায় বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষার মাধ্যমে শুরু হবে লিখিত পরীক্ষা, যা আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত চলবে।
এবার দেশের ১১টি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ৯ হাজার ৩১৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মোট ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছেন। তারা ২ হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় বসেছেন। এর মধ্যে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে সর্বোচ্চ ২ লাখ ৯১ হাজার ২৪১ জন পরীক্ষার্থী এবং বরিশাল বোর্ডে সবচেয়ে কম ৬১ হাজার ২৫ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছেন।
করোনাকালের প্রেক্ষাপটে গত কয়েক বছর সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে সীমিত সময় ও নম্বরে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও এবার পুনঃবিন্যাসকৃত সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে হলেও সব বিষয়ে পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
পরীক্ষা আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় উত্তরপত্র ও আনুষঙ্গিক সরঞ্জামাদি ইতোমধ্যে কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে। কেন্দ্রে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শেষে পরীক্ষার্থীদের বসার সিট নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রীও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. খন্দোকার এহসানুল কবীর জানান, বোর্ডগুলোর প্রস্তুতিতে কোনো ঘাটতি নেই। করোনার বর্তমান পরিস্থিতি মাথায় রেখে প্রশ্নপত্রসহ পরীক্ষার বিভিন্ন সামগ্রীর নিরাপত্তায় বাড়তি সতর্কতা নেয়া হয়েছে।
করোনার প্রভাব মাথায় রেখে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি পরীক্ষার্থীদের জন্য ৩৩ দফা নির্দেশনা দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা, এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবহার নিশ্চিত করা।
পরীক্ষায় মানতে হবে যেসব নির্দেশনা:
- পরীক্ষা শুরুর সময়ের অন্তত ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে উপস্থিত থাকতে হবে;
- ওএমআর শিটে সঠিকভাবে তথ্য পূরণ করতে হবে;
- উত্তরপত্র ভাঁজ করা যাবে না;
- পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল ফোন আনা নিষিদ্ধ;
- বহুনির্বাচনি ও সৃজনশীল অংশে কোনো বিরতি থাকবে না;
- ব্যবহারিকসহ প্রতিটি অংশে আলাদাভাবে উত্তীর্ণ হতে হবে;
- কেবল প্রবেশপত্রে উল্লিখিত বিষয়ের পরীক্ষায় অংশ নেওয়া যাবে;
- নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কেউ পরীক্ষা দিতে পারবে না;
- উপস্থিতি পত্রে স্বাক্ষর করা বাধ্যতামূলক।
পরীক্ষা নির্বিঘ্ন করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা ও স্থানীয় প্রশাসনকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে প্রশ্নফাঁস রোধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বিশেষ নজরদারি চালানো হবে।
এবার প্রশ্নফাঁসের কোনো আশঙ্কা নেই বলে দাবি করেছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি।