মঙ্গলবার, নভেম্বর ১৮, ২০২৫
মঙ্গলবার, নভেম্বর ১৮, ২০২৫

ইসলামে কোরবানির পশুর যেসব অংশ খাওয়া নিষেধ

Avatar photoদীপ্ত নিউজ ডেস্ক

মুসলমানদের জন্য কোরবানি হলো আল্লাহর নৈকট্য লাভের একটি ইবাদত। কোরবানি মানে শুধু আত্মত্যাগই নয়; বরং আল্লাহর সঙ্গে বান্দার ভালোবাসার অনন্য এক নিদর্শনও।

জিলহজের ১০ তারিখের ফজরের পর থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত সময়ে নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হলে একজন সামর্থ্যবান মুসলমানের জন্য কোরবানি করা ওয়াজিব।

মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেন, আমি প্রত্যেক উম্মতের জন্যে কোরবানি নির্ধারণ করেছি, যাতে তারা আল্লাহর দেয়া চতুষ্পদ জন্তু জবাই কারার সময় আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে। অতএব তোমাদের আল্লাহ তো একমাত্র আল্লাহ। সুতরাং তারই আজ্ঞাধীন থাকো এবং বিনয়ীদের সুসংবাদ দাও। (সুরা হজ, আয়াত: ৩৪)

কোরবানির পশুর মাংস খাওয়া হালাল হলেও কিছু অংশ খাওয়া নিষেধ। এর অন্যতম হলো রক্ত; যা ইসলামে সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। এ ছাড়াও নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পশুর আরও ৭টি জিনিস খাওয়া অপছন্দ করতেন।

তা হলোপ্রবাহিত রক্ত, অণ্ডকোশ, চামড়া ও গোশতের মাঝে সৃষ্ট জমাট মাংসগ্রন্থি, মূত্রথলি, পিত্ত, নর ও মাদি পশুর গুপ্তাঙ্গ।

হাদিসের একাধিক বর্ণনায় এসেছে, বিখ্যাত তাবেয়ি হজরত মুজাহিদ (রহ.) বর্ণনা করেন নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বকরির সাত জিনিস খাওয়াকে অপছন্দ করেছেন। তা হলো. প্রবাহিত রক্ত। ২. নর প্রাণীর পুং লিঙ্গ। ৩. অন্ডকোষ। ৪. মাদী প্রাণীর স্ত্রী লিঙ্গ। ৫. মাংসগ্রন্থি। ৬. মুত্রথলি। ৭. পিত্ত।

নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, কোরবানির দিন আদম সন্তান যে আমল করে তার মধ্যে আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় আমল হলো কোরবানির পশুর রক্ত প্রবাহিত করা। কেননা, কোরবানির পশু কিয়ামতের দিন তার শিং, নাড়িভুঁড়ি ও চুলপশম নিয়ে উপস্থিত হবে। আর তার রক্ত জমিনে পতিত হওয়ার আগেই আল্লাহর নিকট কবুল হয়ে যায়। অতএব তোমরা আনন্দের সঙ্গে তা পালন কর। (ইবন মাজাহ)

 

এসএ/দীপ্ত সংবাদ

আরও পড়ুন

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More