মূলত কোষ্ঠকাঠিন্য কিংবা পেটে গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে দিনে একবার ইসবগুলের ভুসির ওপরই ভরসা রাখেন অনেকে। আপনি কি জানেন সকালে, বিকেলে কিংবা রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে খালি পেটে ভুসি খেলে শরীরে কী হয়?
পুষ্টিবিদরা বলছেন, শরীরে নানা উপকারিতা পেতে ইসবগুলের ভুসি খাওয়া জরুরি। তাই আসুন জেনে নিই, নিয়মিত কেন খাবেন ইসবগুলের পানীয়–
১। আমাশয় থেকে রক্ষা করে: বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইসবগুল আমাশয় রোগের জীবাণু নষ্ট করতে পারে না। তবে আমাশয়ের জীবাণু পেট থেকে বের করে দেয়ার ক্ষমতা রাখে। এছাড়া পেটে গ্যাসের সমস্যা দূর করে পাচনক্রিয়া স্বাভাবিক রাখতেও কাজ করতে পারে ইসবগুলের পানীয়।
২। হজমে সাহায্য করে: হজম প্রক্রিয়ায় অস্বাভাবিকতা দূর করতেও ইসবগুলের ভুসি দারুণ কাজ করে। ভাজাপোড়া খাওয়ার কারণে হজমের সমস্যা দেখা দিলেও ইসবগুলের শরবত কাজে আসে। পাকস্থলী পরিষ্কার রাখতেও রোজ সকালে খালি পেটে এটি খেতে পারেন।
৩। ডায়রিয়া উপশমে: দিনে দুবার ৭ থেকে ২০ গ্রাম ইসবগুলের ভুসি খেলে ডায়রিয়া উপশম হয়। রোগীকে ইসবগুলের শরবত খাওয়ালে মিলবে উপকার। ডায়রিয়া থেকে সুরক্ষার জন্য স্বাস্থ্যসচেতন ব্যক্তিরা সবসময় ইসবগুলের শরবত খান।
৪। উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস থেকে রক্ষা করে: উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ইসবগুলের শরবত খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। উচ্চ রক্তচাপের পাশাপাশি টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগীর জন্য ইসবগুলের শরবত দারুণ পথ্য হিসেবে বিবেচিত।
৫। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে পাইলসের সৃষ্টি হয়। পাইলস রোগীদের সারা বছর ইসবগুলের শরবত খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। কারণ এটি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। ৫ থেকে ১০ গ্রাম ইসবগুল এক কাপ হালকা ঠান্ডা বা হালকা গরম পানিতে আধাঘণ্টা ভিজিয়ে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে কিংবা সকালে খালি পেটে খেয়ে নিলে উপকার পাওয়া যায়।
সুপ্তি/ দীপ্ত সংবাদ