ইলিশের দাম কমাতে না পেরে দুঃখ প্রকাশ করেছেন মৎস্য প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি জানান, প্রাকৃতিক এবং মানবসৃষ্ট কারণে, ইলিশের উৎপাদন।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এসব কথা জানান।
মৎস্য উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, শনিবার পর্যন্ত দাম তেমন কমেনি। আমরা ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহসহ সব জায়গার খবর নিয়েছি। শুধু ঢাকার কথা বলি, ৪০০ থেকে ৬০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার থেকে ১ হাজার ৩৫০ টাকায়। ৭০০ থেকে ৯০০ গ্রামের দাম ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা এবং ৯০০ গ্রামের ওপরে প্রতি কেজি ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে আমি খুব সুখবর দিতে পারছি না। এজন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ যেন সাশ্রয়ী দামে ইলিশ খেতে পারে, সে জন্য আমরা গবেষণা চালাচ্ছি। আসল সমস্যাটা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। ইলিশের প্রাপ্তিটা শুধুমাত্র যে অভিযান চালিয়ে মা ইলিশ রক্ষা করলে হচ্ছে না, আমরা দেখছি আরও অনেক কারণ আছে। আশা করছি, এ বছর না পারলেও আগামীতে ভালো অবস্থায় আসতে পারব।
মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, ইলিশের ডিম ছাড়া ও প্রজননের জন্য এ বছর ৪ থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন মা ইলিশ রক্ষায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হবে। এ সময় ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বিপণন ও মজুত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ সময়ে ৩৭ জেলার ১৬৫টি উপজেলার ৬ লাখ ২০ হাজার জেলে পরিবারকে ভিজিএফের চাল দেয়া হবে। উপদেষ্টা বলেন, এ কার্যক্রমে সাড়ে ১৫ হাজার টন চাল বরাদ্দ দেয়া হবে।
তিনি বলেন, পূজা উপলক্ষে এ বছর এখন পর্যন্ত ভারতে রফতানি করা হয়েছে ১০৩ টন ইলিশ। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রতি কেজি ইলিশের রপ্তানি মূল্য নির্ধারণ করেছে সাড়ে ১২ ডলার।