ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় জড়িত পাঁচ ছাত্রীকে বহিস্কার করেছে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হল কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ জানিয়েছে, প্রতিবেদন কেন্দ্রীয় কমিটিকে দেয়া হয়েছে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে তারা।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে ডেকে রাত ১১টা থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত এক ছাত্রীকে বিবস্ত্র করে মারধর ও শারীরিকভাবে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ–সভাপতি ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। নির্যাতনের পরদিন ভয়ে ক্যাম্পাস থেকে পালিয়ে যান ওই ছাত্রী।
সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে জরুরি বৈঠকে বসেন প্রভোস্টসহ হলের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। সেখানে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় গঠিত হলের তদন্ত কমিটির সদস্যরাও ছিলেন।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক শামসুল আলম বলেন, ‘ছাত্রী যে অভিযোগ দিয়েছেন শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের তার সত্যতা মিলেছে। পাঁচজন শিক্ষার্থীকে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের আবাসিকতা বাতিলের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এবং এ পাঁচজন শিক্ষার্থীকে আগামী ১.৩.২০২৩ ইং তারিখ বেলা ১২টার মধ্যে হল থেকে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হইছে।‘
এদিকে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনার সত্যতা পেয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কাছে পাঠানো হয়।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ যে সিদ্ধান্ত নেবে সেটাকে স্বাগত জানাবে তারা।
আফ/দীপ্ত সংবাদ