পেরু ও ইকুয়েডরে শক্তিশালী ৬.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে অন্তত ১৪ জনের প্রাণহানি হয়েছে। আহত হয়েছেন ১২০ জনেরও বেশি। শনিবার (১৮ মার্চ) স্থানীয় সময় দিবাগত রাত ১২টা ১২ মিনিটে ইকুয়েডরের উপকূলীয় অঞ্চলের গুয়ায়াস প্রদেশের বালাও শহরে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ভূমিকম্পটি ভূপৃষ্ঠ থেকে ৬৬.৪ কিলোমিটার গভীরে উৎপত্তি হয়। এর উপকেন্দ্র ছিল বালাও শহর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরের একটি এলাকা। এ ভূমিকম্পে আবাসিক অবকাঠামোসহ স্কুল–কলেজের ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কুয়েনকা শহরের সেলাই পণ্যের বিক্রয়কর্মী মাগালি এসকান্ডন বলেন, ‘মানুষ ভয়ে গাড়ি থেকে নেমে দৌড়াতে শুরু করেছিল। আমিও রাস্তায় নেমে এসেছিলাম।’
ইকুয়েডরের সরকারি হিসাব বলছে, ভূমিকম্পে ইকুয়েডরের এল ওরো প্রদেশে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। এ প্রদেশে এখন পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর আজুয়ায় প্রদেশে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত কতজন আহত হয়েছেন, সে তথ্য দেয়নি দেশটি।
এদিকে পেরুর সরকারি হিসাব বলছে, ইকুয়েডরের সীমান্তে পেরুর তুম্বেস শহরে মাথায় ইট আঘাতে চার বছর বয়সী এক কন্যাশিশুর মৃত্যু হয়েছে। নিহত শিশুটির চাচা ডেভিড আলভারাদো বলেন, ‘আমি আমার ভাতিজির সঙ্গে বাইরে খেলছিলাম। হঠাৎ তার মাথার ওপর ইট এসে পড়েছে।’