ইউক্রেনের আকাশে দুটি এল–৩৯ যুদ্ধ প্রশিক্ষণ বিমানের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দেশটির তিনজন সামরিক পাইলট নিহত হয়েছেন।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৫ আগস্ট) দেশটির রাজধানী কিয়েভের পশ্চিমের জাইটোমির অঞ্চলের এ দুর্ঘটনা ঘটে। শনিবার (২৬ আগস্ট) ইউক্রেনের বিমানবাহিনী এ তথ্য জানিয়েছে।
তিন পাইলটের মৃত্যুর ঘটনা দেশটির জন্য বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে। কারণ, নিহতদের একজন ছিলেন দুর্দান্ত প্রতিভার অধিকারী, যিনি এফ–১৬ যুদ্ধবিমান ওড়ানোতে বেশ আগ্রহী ছিলেন। রাশিয়ার আক্রমণের প্রথম দিকে কিয়েভে ডগফাইটে অংশ নিয়ে খ্যাতি অর্জন করেন পাইলট আন্দ্রি পিলশচিকভ। ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনী একসঙ্গে তিন পাইলটের মৃত্যুকে ‘বেদনাদায়ক এবং অপূরণীয় ক্ষতি’ হিসেবে অভিহিত করেছে এবং পিলশ্চিকভকে ‘বিশাল প্রতিভার’ আধিকারী উল্লেখ করে শ্রদ্ধা জানিয়েছে।
এ দিকে দুই যুদ্ধবিমানের সংঘর্ষের ঘটনায় ফ্লাইট প্রস্তুতির নিয়ম লঙ্ঘন করা হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে ইউক্রেনের প্রসিকিউটর জেনারেলের অফিস। তদন্ত সাপেক্ষে শিগগিরই বিস্তারিত আলোচনা করে ঘটনার বিষয়ে স্পষ্ট ব্যাখা করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলেনস্কি।
ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তার রাতের ভাষণে পাইলটদের মৃত্যুর বিষয়ে বলেছেন, ইউক্রেনের মুক্ত আকাশ রক্ষাকারীদের কখনো ভুলবে না দেশ। গত শরতে ইউক্রেনে শত শত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন দিয়ে একযোগে তীব্র হামলা চালায় রাশিয়া। সে সময় প্রাণঘাতী অস্ত্রগুলো ঠেকানোর দায়িত্বে ছিলেন ইউক্রেনের মিগ–২৯ ফাইটার পাইলট পিলশচিকভ।
এ বিষয়ে দেশটির বিমানবাহিনীর মুখপাত্র ইউরি ইহানাত পিলশ্চিকভকে বলেছেন, নিহতদের একজন ইংরেজিতে সাবলীল ছিলেন এবং গত ডিসেম্বরে ‘মেগা ট্যালেন্ট’ ও সংস্কারের নেতা হিসাবে ২৯ বছরের ওই পাইলটের সাক্ষাৎকার নিয়েছিল রয়টার্স। তিনজনের মধ্যে একজন অ্যান্ড্রি পিলশচিকভ যিনি একজন ইউক্রেনীয় অফিসার। যিনি দেশকে ব্যাপকভাবে সাহায্য করেছেন।
মোরশেদ আলম/দীপ্ত নিউজ