শনিবার, নভেম্বর ২৩, ২০২৪
শনিবার, নভেম্বর ২৩, ২০২৪

ইউএনওর নির্দেশে বাল্যবিয়ে বন্ধ করলো চেয়ারম্যান

Avatar photoদীপ্ত নিউজ ডেস্ক

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার নলচিরা ইউনিয়নে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক মাদ্রাসা ছাত্রীর বাল্যবিয়ে বন্ধ করেছেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনছুর উল্যা শিবলী। হাতিয়া থানা পুলিশের সহযোগিতায় অপ্রাপ্ত বয়সে মেয়েকে বিয়ে দিবে না মর্মে কনের বাবার কাছ থেকে একটি লিখিত মুছলেখা নিয়েছেন চেয়ারম্যান।

রবিবার (২৮ মে) দুপুর ১২টার দিকে ফরাজি গ্রামে কনের বাড়িতে বর আসার আগেই উপস্থিত হয়ে এ বিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়।

স্থানীয়রা জানান, স্থানীয় একটি মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী (১৫) এর সাথে একই উপজেলার চরকিং ইউনিয়নের গামছাখালি গ্রামের আলা উদ্দিনের ছেলে শরীফের সাথে রবিবার বিয়ের দিন ধার্য্য করা হয়। অনুষ্ঠানের প্রায় তিন শতাধিক মেহমানের জন্য কনের বাড়িতে সকাল থেকে রান্নাবান্না সহ সকল আয়োজন করা হয়।

রবিবার সকালে মাদ্রাসা ছাত্রীর বাল্যবিয়ের বিষয়টি স্থানীয় লোকজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কায়সার খসরুকে অবগত করলে তিনি দাপ্তরিক কাজে ব্যস্ত থাকায় স্থানীয় চেয়ারম্যান ও হাতিয়া থানা পুলিশকে দ্রুত কনের বাড়িতে পাঠান। প্রথমে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কনের পরিবারের লোকজন পালিয়ে যায়। পরে তাদের ফিরিয়ে আনার পর চেয়ারম্যান কনের জন্মনিবন্ধন সনদ দেখে তার ১৮ বছর হয়নি নিশ্চিত হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে বিয়ে বন্ধ করে দেন।

নলচিরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মনছুর উল্যা শিবলী জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে ও পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতিতে কনে অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় বিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কনের ১৮ বছর না হওয়ার আগে তাকে বিয়ে দিবে না এ মর্মে তার বাবা আলা উদ্দিনের কাছ থেকে লিখিত মুছলেকা নেওয়া হয়েছে।

হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কায়সার খসরু বলেন, চেয়ারম্যান ও পুলিশের হস্তক্ষেপে ছাত্রীটির বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

 

এ.এস.এম.নাসিম/আফ/দীপ্ত নিউজ

আরও পড়ুন

সম্পাদক: এস এম আকাশ

অনুসরণ করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

স্বত্ব © ২০২৩ কাজী মিডিয়া লিমিটেড

Designed and Developed by Nusratech Pte Ltd.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More