আলফামার্ট ট্রেডিং বাংলাদেশ লিমিটেড নামে একটি খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান আনুষ্ঠানিকভাবে দেশে ব্যবসা শুরু করছে। এটি ইন্দোনেশিয়া ও জাপানের যৌথ বিনিয়োগে গঠিত কোম্পানি। বাংলাদেশে এ প্রতিষ্ঠানের অংশীদার হিসেবে রয়েছে শিল্পগোষ্ঠী কাজী ফার্মস গ্রুপ।
বাংলাদেশের আধুনিক খুচরা বিক্রয় খাতে সূচনা হতে যাচ্ছে নতুন এক অধ্যায়ের। যার নাম আলফামার্ট ট্রেডিং বাংলাদেশ লিমিটেড। নতুন এ বিনিয়োগে বাংলাদেশে ব্যবহার করা হবে সর্বাধুনিক রিটেইল প্রযুক্তি। স্থানীয় ভোগ্যপণ্য উৎপাদকদের মধ্যে দ্রুত বিতরণের জন্য তারা গড়ে তুলবে একটি নতুন ডিস্ট্রিবিউশন বা বিতরণ নেটওয়ার্ক।
মঙ্গলবার (০৭ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আলফামার্ট ট্রেডিং বাংলাদেশ লিমিটেডের আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরুর ঘোষণা দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন ও সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ, বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষসহ দেশী–বিদেশি বহু বিনিয়োগাকারীরা।
ইন্দোনেশিয়া ও জাপানের যৌথ বিনিয়োগে গঠিত এই কোম্পানির স্থানীয় অংশীদার হিসেবে রয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় খাদ্য ও পোল্ট্রি শিল্পগোষ্ঠী কাজী ফার্মস গ্রুপ।
কাজী ফার্মস গ্রুপের পরিচালক কাজী জাহিন হাসান বলেন, “আমাদের এই উদ্যোেগে ১২০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হবে। এর ফলে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। আমরা আশা করছি রিটেইল চেইন শপগুলোতে ৪০ ভাগ মেয়েদের কাজের সুযোগ দিতে পারবো।“
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, যৌথ উদ্যোগের অংশীদারদের মধ্যে একটি আলফামার্ট, যা বর্তমানে ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইনে প্রায় ৩০ হাজার স্টোর পরিচালনা করছে। আরেক অংশীদার মিৎসুবিশি করপোরেশনের রিটেইল শপ সোগো শোশা, যারা জাপান ও ইন্দোনেশিয়ায় প্রায় ১৭ হাজার স্টোর পরিচালনা করে।
“কাজী ফার্মস বাংলাদেশে কমপ্লায়েন্স মেইনটেইন করে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করছে। আমি আশা করছি ব্যবসা পরিচালনায় বাংলাদেশে রিটেল উদ্যোক্তাদের দারুন সম্ভবনা রয়েছে। আমার বিশ্বাস, বাংলাদেশের মানুষ আলফামার্টকে সাদরে গ্রহণ করবে,” বলেন বুদিয়ান্ত জোকো সুশান্ত, চেয়ারম্যান, আলফামার্ট গ্রুপ, ইন্দোনেশিয়।
অনুষ্ঠানে হিরোশি ওয়েগািক, জাপানের মিতসুবিশি করপোরেশনের প্রতিনিধি বলেন, “আমি মনে করি বাংলাদেশ–ইন্দোনেশিয়া এবং জাপান এই তিনদেশের ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতা একটি দারুণ বিজনেস ভেঞ্চার তৈরী করবে। এর ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে একটি টেকসই উন্নয়নে সহায়তা করবে।“
প্রকল্পটির প্রথম ধাপে ৫ কোটি মার্কিন ডলারের বিদেশি বিনিয়োগ থাকবে, যা দেশি মুদ্রায় ৬১০ কোটি টাকার মতো। দ্বিতীয় ধাপে আরও ৭ কোটি ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে। দুটো মিলিয়ে আলফামার্টে মোট ১২ কোটি ডলার বা ১ হাজার ৪৬৪ কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে। এর ফলে বিনিয়োগের পাশাপাশি কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগ তৈরি হবে, এমন আশার কথা জানাচ্ছেন স্থানীয় উদ্যোক্তারা।