ভারত আগামী ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তান আক্রমণ করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) ভোরে এক সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পোস্টে এই আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
২২ এপ্রিল পহেলগামে জঙ্গি হামলার পর থেকেই প্রত্যাঘাত নিয়ে উদ্বেগ ইসলামাবাদে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশেষ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পাকিস্তানকে জবাব দেওয়ার বিষয়ে সেনাবাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন। এই বৈঠকের পরই গভীর রাতে পাক মন্ত্রীর সম্মেলন। গত কয়েকদিন ধরেই নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ভারতের সামরিক সক্রিয়তা চোখে পড়ার মতো। বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, পহেলগাম হামলার জবাব দেওয়ায় জন্য ভারতীয় সেনাকে প্রধানমন্ত্রীর এরকম পূর্ণ স্বাধীনতায় শঙ্কায় পাকিস্তান। তাদের কাছে এই ছাড়পত্র এখন একপ্রকার যুদ্ধ শুরুর দামামা।
গত ২২ এপ্রিল জম্মু–কাশ্মীরের পহেলগামের বৈসরন উপত্যকায় আচমকাই হামলা চালায় জঙ্গিরা। প্রাণ হারান ২৬ জন নিরীহ মানুষ। সেই হামলায় পাক যোগ স্পষ্ট হতেই কড়া প্রত্যাঘাতের হুঁশিয়ারি ভারতের। মঙ্গলবার সন্ধেয় প্রধানমন্ত্রীর লোককল্যাণ মার্গের বাসভবনে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, তিন বাহিনীর প্রধান (সিডিএস) জেনারেল অনিল চৌহান, সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদী, নৌসেনার প্রধান অ্যাডমিরাল দীনেশ কে ত্রিপাঠী, এয়ার চিফ মার্শাল অমরপ্রীত সিং। ‘সন্ত্রাস দমনে যা করার দরকার করুন…।’ এই মর্মে ছাড়পত্রের সঙ্গে সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের দমনে কড়া হওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বলে জানা গিয়েছে। এই ঘোষণার পরই খানিক ব্যাকফুটে পাকিস্তান বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।
তাই মাঝরাতেই সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে বার্তা পাক মন্ত্রীর। পাকিস্তানের তরফে সাফাই গেয়ে তথ্যমন্ত্রী আট্টাতুল্লা তারার বলেন, ‘পাকিস্তান নিজেই সন্ত্রাসবাদের শিকার এবং এই অভিশাপের যন্ত্রণা আমরা সত্যিই বুঝি। আমরা সর্বদা বিশ্বের যে কোনও স্থানে, যে কোনও রূপে এর নিন্দা করেছি। ভারতের তরফ থেকে যে কোনও আগ্রাসনের কঠোর জবাব দেওয়া হবে। এই অঞ্চলে যে কোনও গুরুতর পরিণতির জন্য ভারত সম্পূর্ণরূপে দায়ী থাকবে।’
আল