আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ছাড়া দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় জানিয়েছে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আব্দুল ওহাব মিনার।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দলটির উদ্যোগে চলমান গণইফতার কার্যক্রমের ১০ম দিনে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে আব্দুল ওহাব মিনার বলেন, গত কয়েকদিনে যে পরিমাণ ধর্ষণের নিউজ আসছে, তা দেখে আমাদের ভাবিয়ে তুলছে এবং আমাদের মনকে বিষিয়ে তুলছে। সেনা রাস্তায় থাকা অবস্থায় কী করে ধর্ষণ, চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই হচ্ছে এসবের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে জবাব দিতে হবে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে প্রশ্ন রেখে আব্দুল ওহাব মিনার বলেন, আইনশৃঙ্খলার এই অবনতির মধ্যে কি করে সুষ্ঠু নির্বাচন করবেন? আগে আইনশৃঙ্খলার নিয়ন্ত্রণ নিন, তারপর নির্বাচনের কথা ভাবুন। এমন নাজুক পরিস্থিতিতে কোনোভাবেই সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক মঈন উদ্দিন খান রিপন বলেন, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় এবি পার্টি জন্মলগ্ন থেকেই কাজ করে যাচ্ছে। স্বৈরাচার পতন আন্দোলনেও তারা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে। পতিত ফ্যাসিবাদ সরকার লুটপাটের অর্থ পাচার করে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে। পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নিতে হবে।
এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসাইনের সঞ্চালনায় গণইফতারে আরও বক্তব্য রাখেন– এবি যুবপার্টির সদস্য সচিব হাদিউজ্জামান খোকন, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্যসচিব সেলিম খান, কৃষি বিষয়ক সহ–সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান রঞ্জু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সদস্য সচিব বারকাজ নাসির আহমাদ, স্বেচ্ছাসেবা ও জনকল্যাণমূলক সহ–সম্পাদক কেফায়েত হোসাইন তানভীর।
সরকারি বিজ্ঞান কলেজের অধ্যাপক মঈন উদ্দিন খান রিপন আরও বলেন, আমরা দেখেছি জুলাই ছাত্র আন্দোলনে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সবার আগে এবি পার্টি রাজপথে নেমে এসেছিলেন। এছাড়া বিগত ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে এবি পার্টি লড়াই ছিল চোখে পরার মতো। আমরা আর কোনো চাঁদাবাজ তৈরি হতে দেব না, এই দেশের মালিক আপনারা, দেশটা কারও বাবার বা কারও স্বামীর না। সীমাহীন দূর্নীতির পথ চিরতরে রুদ্ধ করেই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হবে। শেখ পরিবার হলেন চোরের পরিবার, এদের কাজই ছিল লুটপাট করা দেশের টাকা পাচার করা। লুটের টাকা ফেরত নিয়ে আসতে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আহবান জানান তিনি।
গণইফতার অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন– এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন রানা, এবিএম খালিদ হাসান, ছাত্রপক্ষের আহবায়ক মুহাম্মদ প্রিন্স, সহ–সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা) শাহজাহান ব্যাপারী, স্বেচ্ছাসেবা ও জনকল্যাণ বিষয়ক সহ–সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন রমিজ, যুবপার্টির দফতর সম্পাদক আমানুল্লাহ সরকার রাসেল, নারী উন্নয়ন বিষয়ক সহ–সম্পাদক শাহিনুর আক্তার শিলা, সহদপ্তর সম্পাদক আব্দুল হালিম নান্নু, শরন চৌধুরী, মশিউর রহমান মিলু, সহ অর্থ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক ও সহ প্রচার সম্পাদক রিপন মাহমুদ, আজাদুল ইসলাম আজাদ, এবি যুব পার্টির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব মাসুদুর রহমান, পল্টন থানার আহবায়ক মুন্সি আব্দুল কাদের, যাত্রাবাড়ী থানা আহবায়ক আরিফ সুলতান সহ কেন্দ্রীয়, মহানগরী, যুবপার্টি ও ছাত্রপক্ষের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
ইএ