নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় এক যুবককে জিম্মি করে জোরপূর্বক এক নারীর সাথে একই ঘরে ঢুকিয়ে মোবাইল ফোনে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে। পরে ওই ভিডিও দেখিয়ে ১লাখ ১০ হাজার টাকা আদায় এবং পরবর্তীতে আরও ২লাখ টাকা চাঁদা দাবি করার অভিযোগে কিশোর গ্যাং এর দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
সোমবার (১২ জুন) সকালে সুধারাম মডেল থানা থেকে গ্রেপ্তারকৃতদের বিচারিক আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে দু’টি মোবাইল ও নগদ ২০ হাজার জব্দ করা হয়।
এরআগে রবিবার (১১ জুন) রাতে চৌমুহনী পৌরসভার রেলগেইট সংলগ্ন মোর্শেদ আলম কমপ্লেক্সের সামনে থেকে তাদের দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন, গোপালপুর ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে ইমন (২১) ও একই গ্রামের শহীদ উল্যার ছেলে তাজুল ইসলাম সজিব (২০)।
পুলিশ জানায়, বেগমগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের একটি বাড়িতে প্রাইভেট পড়াতেন ভুক্তভোগী ওই যুবক। গত কয়েকদিন আগে কিশোর গ্যাং এর ওই দুই সদস্য যুবককে ভয়ভীতি পদর্শন করে জোর পূর্বক তার শিক্ষার্থীর ঘরে নিয়ে যায়। পরে তারা একটি কক্ষে তাকে আটক করে মারধর এবং এক নারীকে ওই কক্ষে ঢুকিয়ে তাদের দুই জনের অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে। এ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে বিকাশ সহ বিভিন্ন ভাবে প্রথমে ১লাখ ১০হাজার টাকা আদায় করে। এরই মধ্যে কিশোর গ্যাং এর ওই সদস্যরা পুনরায় ভুক্তভোগী যুবকের কাছে আরও দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করলে সে বিষয়টি জেলা পুলিশ সুপারকে লিখিত ভাবে জানায়। তার অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল।
রবিবার দিবাগত রাতে কৌশলে দুই আসামিকে চৌমুহনী মোর্শেদ আলম কমপ্লেক্সের সামনে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিন আহমেদ, গ্রেপ্তারকৃত কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের অপরাধ স্বীকার করেছে। এ গ্যাং এর অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এ.এস.এম.নাসিম/আফ/দীপ্ত নিউজ