২০২১-২২ অর্থবছরে ৮ হাজার ৫৭১টি সন্দেহজনক লেনদেন শনাক্ত করেছে, বাংলাদেশ আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট। যার সংখ্যা আগের অর্থ বছরের চেয়ে শতকরা ৬২ ভাগ বেশি। সংস্থাটির প্রধান বলছেন, সবচেয়ে বেশি অর্থ পাচার হয় বাণিজ্যের ‘আমদানি-রপ্তানি’ খাতে।
অর্থপাচার ও সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন বন্ধে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ ও ব্যবস্থা নিতে ২০০২ সালে গড়ে ওঠে ‘বাংলাদেশ ফিন্যানসিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিট’- বিএফআইইউ। সংস্থাটির ২০ বছর পূর্তি এবং ২০২১-২২ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদন তুলে ধরতে, সোমবার রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংক ভবনে, সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে এই আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট। সংস্থাটির প্রধান জানান, গত অর্থবছরে অর্থপাচার ও সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন রোধে বাংলাদেশ আট ধাপ এগিয়ে, ৪১ তম স্থানে অবস্থান করছে। তবে সন্দেহজনক লেনদেনের সংখ্যা বেড়েছে।
প্রশ্ন উঠেছে বাংলাদেশে বিভিন্ন পর্যায়ে কাজ করা বিদেশীদের নিয়েও। অর্থপাচারে তাদের ভূমিকা দেখলেও, কতজন বিদেশী কাজ করছে তা জানে না বিএফআইইউ। দেশের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানসহ অনলাইনভিত্তিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওপর নজরদারী বাড়ানো হয়েছে বলে জানায়, বিএফআইইউ।
তিনি জানান, ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ‘সুইস ব্যাংক’ সন্দেহজনক ব্যক্তির অর্থের তথ্য জানাবে। আইন না থাকায় এতদিন গ্রাহকদের তথ্য সরবরাহ করেনি সুইস ব্যাংক।