ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহ-অর্থায়নে নাগরিক উদ্যোগ, ওয়েভ ফাউন্ডেশন এবং খ্রিস্টান এইড দ্বারা আয়োজিত আলোকচিত্র প্রদর্শনীর সমাপনী পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে ২৫শে নভেম্বর, শুক্রবার এক মতবিনিময় সভার মধ্য দিয়ে। আলোচনাটি ছিল আর্ন্তজাতিক জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ পক্ষকাল উদযাপন বিষয়ে।
এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মাননীয় সংসদ সদস্য ও বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব জনাব আসাদুজ্জামান নূর। সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে হিজড়া ও হিজড়াদের সংখ্যালঘু গোষ্ঠী কীভাবে পিছিয়ে রয়েছে তা দর্শকদের জানাতে খুলনার অদিতি থিয়েটার গ্রুপের একটি সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক নাটক পরিবেশন করা হয়।। নূর। সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে হিজড়া ও হিজড়াদের সংখ্যালঘু গোষ্ঠী কীভাবে পিছিয়ে রয়েছে তা দর্শকদের জানাতে খুলনার অদিতি থিয়েটার গ্রুপের একটি সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক নাটক পরিবেশন করা হয়।। নাটকটি দর্শনের পর হিজড়া জনগোষ্ঠীর সদস্য তানিয়া আক্তার রোহিনী মতবাদ অনুষ্ঠানে বলেন, “নাটকটি দেখে আমি স্মৃতিচারিত হয়ে পরি, আমাদের জীবনকালটা ঠিক এমনি ছিল। সরকারী এবং বেসরকারী সংস্থার সাহায্যে আজ আমরা নিজেদের উন্নয়নে কাজ করতে পারছি, কিন্তু আমরা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী নই পিছিয়ে রাখা জনগোষ্ঠীর পর্যায়ে রয়েছি।অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি, জনাব আসাদুজ্জামান নুর, মতবিনিময় সভায় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীকে তাদের সংগ্রামে নিজের শুভেচ্ছা এবং শ্রদ্ধা জানান। প্রতিটি পর্যায়ে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী নিপীড়নের শিকার হয়ে আসছে বহুবার সরকারী এবং বেসরকারী সংস্থার উদ্যগে গ্রহণের পরও ।
এছাড়া তিনি আরও বলেন ” জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা দূর করতে আমাদের শিক্ষা ও সংসকৃতিকে এক সুতায় গেথে দিতে হবে।” অনুষ্ঠানে মাহালি জনগোষ্ঠীর একজন বলেন “বাশ নিয়েই তাদের জীবন নির্বাহ হয় কিন্তু শিলপায়নের এই যুগে পলাস্টিকে জনপ্রিয়তার কারণে তারা বাশ দিয়ে তৈ্রী পণ্য বিক্রয় করতে বাধাগ্রস্থ হন। তারা নিজেদের গোষ্ঠীর জন্য সরকারী সহযোগীতা কামনা করছেন। মতবাদ অনুষ্ঠানে আরও বলা হয়, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সরকারী পর্যায়ে জাতীয় পরিচয় প্রদানের মাধ্যমে কিছু কিছু জায়গায় অগ্রধিকার দেওয়া হচ্ছে, তবে সত্যিকার অর্থে অগ্রগতির পথ অনেকটুকু বাকি। বিভিন্ন বয়সের মানুষ এই দলিত, সমতলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, ট্রান্সজেন্ডার এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়ে ” মর্যাদাপূর্ণ জীবিকার লড়াই ” শীর্ষক প্রদর্শনী উপভোগ করতে আসেন।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন মোঃ কামরুজ্জামান, মহাপরিচালক, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, মিস সুস্মিতা পাইক, উপ-পরিচালক, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, জনাব মহসিন আলী, নির্বাহী পরিচালক, ওয়েভ ফাউন্ডেশন, মিসেস ডাঃ মেঘনা গুহঠাকুরতা, নির্বাহী পরিচালক, রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ, ড. বাংলাদেশ, জনাব প্রশান্ত ত্রিপুরা, হেলভেটাস সুইস ইন্টারকোঅপারেশন বাংলাদেশের প্রকল্প পরিচালক, জনাব মোঃ মাসুম রানা, কোম্পানি সচিব, কুইন্স সাউথ টেক্সটাইল মিল, জনাব মোঃ আহমেদ আলী, ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার এবং হেড অফ সেলস, সিটি গ্রুপ, জনাব মোঃ আহকাম উল্লাহ। ,সাধারণ সম্পাদক ,সাংস্কৃতিক জোটও উপস্থিত ছিলেন। নলিনীকান্ত ভট্টশালী গ্যালারিতে ২২-২৫ নভেম্বর পর্যন্ত সর্বস্তরের মানুষ প্রদর্শনীটি দেখতে আসেন এবং দলিত, সমভূমির জাতিগত সংখ্যালঘু, ট্রান্সজেন্ডার এবং হিজরা এবং প্রতিবন্ধী সম্প্রদায়ের মানুষদের জীবন ও জীবিকা নিয়ে গবেষণার ফলাফলগুলি শিখেছে। ঢাকার শাহবাগে জাতীয় জাদুঘর।