এশিয়া কাপ–২০২৩ গ্রুপ “বি” এর নিজেদের প্রথম ম্যাচে আজ বৃহস্প্রতিবার (৩১ আগস্ট) মাঠে নামবে বাংলাদেশ ও স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। দুই দলের সামনে রয়েছে ইনজুরি ও পুরনো প্রতিদ্বন্দ্বিতার স্নায়ুর চাপ। মাঠের বাইরের এসব সামলে শেষ হাসি ফুটবে কোন দলের মুখে, জানা যাবে আর কয়েক ঘণ্টা পর।
এশিয়া কাপে এখন পর্যন্ত ১৫ বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। এরমধ্যে শ্রীলঙ্কার ১২টিতে জয়ের বিপরীতে ৩ ম্যাচ জিতেছে টাইগাররা। কিন্তু এশিয়া কাপে দুই দলের শেষ পাঁচ ম্যাচের তিনটিতে জিতেছে বাংলাদেশ। এ ছাড়া ওয়ানডে ফরম্যাটে এখন পর্যন্ত ৫১ বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। এরমধ্যে লঙ্কানদের জয় ৪০টিতে এবং বাংলাদেশ জয় পেয়েছে ৯ ম্যাচে। বাকী দুই ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়।
তবে এখন এই দুই দলের লড়াইকে রাইভাল বলা হচ্ছে। বাংলাদেশ–শ্রীলঙ্কা লড়াই মানেই যেন নতুন এক স্নায়ু যুদ্ধ। নিদাহাস ট্রফির সেই নাগিন কাণ্ড থেকে শুরু হয় দু‘দলের ভক্ত সমর্থকদের মাঠের বাহিরেও রুদ্ধশ্বাস লড়াই। ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বেশ কয়েকদিন ধরেই চলছে এই ম্যাচ নিয়ে নানা উত্তাপ। তাই এ ম্যাচে দুই দলের জন্য জয়ের পাশাপাশি বাড়তি চাপ সামলানোর লড়াইও বটে।
এদিকে দুই দলই সমান ভাবে ভুগছে ইনজুরি সমস্যায়। বাংলাদেশ দলে ইনজুরির কারণে নেই তামিম, লিটন, এবাদতসহ কয়েকজন নিয়মিত ক্রিকেটার। তেমনি স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা দলে নেই হাসারাঙ্গা, চামিরা, কুমারা, মাধুস্কাদের মতো কিছু নিয়মিত পারফর্মার। তাই মূল একাদশ সাজাতে দুই দলকেই তাদের বেঞ্চের খেলোয়াড়দের নিয়ে বেশ পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে হবে।
বাংলাদেশ দলের জন্য মাথা ব্যাথার কারণ হতে পারেন লংকান ব্যাটার কারুণারত্নে, কুশাল মেন্ডিস ও কুশাল পেরেরা। বাংলাদেশের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত ১৫ টি ওয়ানডে খেলে তিন শতক ও একটি অর্ধশতকে ৪৩.৫০ গড়ে মোট ৬০৯ রান করেছেন বাঁহাতি ব্যাটার কুশাল পেরেরা। অন্যদিকে ১৩ ওয়ানডেতে প্রায় ৩৭ গড়ে ৪০৬ রান করেছেন কুশাল মেন্ডিস। বোলিংয়ে মাহেশ থিকশানার পাশাপাশি তরুণ পেসার পাথিরানা হতে পারেন টাইগার ব্যাটারদের জন্য বিপদজনক। আইপিএলে চেন্নাইয়ের হয়ে ১৪ ম্যাচে ২১ উইকেট নিয়েছেন এই পেসার।
অন্যদিকে বাংলাদেশের ডাগআউটের জন্য স্বস্তিকর হতে পারে ফর্মে থাকা পেস অ্যাটাক। তাসকিন, হাসান মাহমুদ ও মুস্তাফিজের সাথে বোলিংয়ে থাকবে অভিজ্ঞ স্পিনার সাকিব–মিরাজের বৈচিত্র্য অফ স্পিন। আর ব্যাটিংয়ে শান্ত, হৃদয় ও নাঈমের সাথে মুশফিকুর রহিমের দিকে নজর থাকবে দলের। কারণ টাইগার লিটল মাস্টার শ্রীলঙ্কার সাথে বরাবরের মতোই দুর্দান্ত ব্যাট করেন। গত এশিয়া কাপেও বাংলাদেশের হয়ে এশিয়া কাপে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১৪৪ রানের ইনিংসটি খেলেন এই লংকানদের বিপক্ষেই। আর লোয়ার অর্ডারে দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে টাইগাররা তাকিয়ে থাকবে আফিফ অথবা শামীমের দিকে।
তবে, পাল্লেকেলের আবহাওয়া চোখ রাঙাচ্ছে ম্যাচের ফলাফলের দিকে। ম্যাচের আগের দিনও বৃষ্টি হয়েছে, শঙ্কা রয়েছে ম্যাচের দিনেও হওয়ার। সব ছাপিয়ে দুই দলের মতো দর্শকদেরও চাওয়া পুরো জমজাট এক লড়াই উপভোগ করা।
ইমাম/দীপ্ত নিউজ