আজ শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) পবিত্র শবে মেরাজ। এই মহিমান্বিত রাতে সকল ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা রহমত ও দোয়া কবুলের আশায় আল্লাহর ইবাদতে মশগুল থাকেন। ইবাদতের মাঝেই শবে মেরাজ উদযাপন করা হয়।
ইসলাম ধর্মে শবে মেরাজের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এই মেরাজের রাতেই প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) সকল মুসলমানদের জন্য প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ এই বিধান নিয়ে আসেন।
রাসুলুল্লাহ (স.)-এর মেরাজ কোরআন–হাদিসের অকাট্য দলিল দ্বারা প্রমাণিত। মেরাজ সত্য এই বিশ্বাস রাখা ফরজ। মেরাজের রাতে নবীজির বায়তুল মাকদিস পর্যন্ত সফরের কথা সুরা বনী ইসরাইলের শুরুতে এবং ঊর্ধ্ব জগতের সফরের কথা সুরা নাজমের ১৩ থেকে ১৮ নং আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে। কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘পবিত্র সত্তা তিনি, যিনি বান্দাকে তাঁর নিদর্শনগুলো দেখানোর জন্য রাত্রিকালে ভ্রমণ করিয়েছেন মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসা পর্যন্ত। যার পরিবেশ পবিত্র, নিশ্চয়ই তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।’ (সুরা বনি ইসরাইল: ১)
লাইলাতুল বা শব অর্থ হলো– রাত আর মেরাজ অর্থ ঊর্ধ্বগমন। শবে মেরাজ বা লাইলাতুল মেরাজের অর্থ দাঁড়ায়– ঊর্ধ্বগমনের রাত। নবী কারিম (স.)-এর ৫০ বছর বয়সে পবিত্র মেরাজ সংঘটিত হয়। মহানবী (স.) জাগ্রত অবস্থায় মসজিদে হারাম থেকে পবিত্র মেরাজের যাত্রা শুরু করেন। মসজিদে আকসা, জিব্রাইল (আ.) বোরাকে করে নবীজিকে বায়তুল মোকাদ্দাস নিয়ে যান। সেখানে তিনি দুই রাকাত নামাজ পড়েন। ওই নামাজে সব নবীর ইমামতি করেন নবীজি (স.)। এরপর ঊর্ধ্বাকাশে যাত্রা করেন। যাত্রাপথে প্রত্যেক আসমানে পূর্ববর্তী সম্মানিত নবীদের সাথে সাক্ষাৎ হয়। এরপর সিদরাতুল মুনতাহা হয়ে আরশে আজিমে মহান আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করেন। পবিত্র মেরাজের রাতে বিশ্বনবী (স.) স্বচক্ষে বেহেশত ও দোজখ দেখেছেন। অনেক পাপের শাস্তি প্রত্যক্ষ করেছেন।
গতকাল এক সরকারি তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়েছে, পবিত্র শব–ই–মিরাজ উপলক্ষে দুপুর দেড়টায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বায়তুল মুকাররাম জাতীয় মসজিদে ‘পবিত্র শবে মেরাজ’র গুরুত্ব ও তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।
অনু/দীপ্ত সংবাদ