ট্রাভেল ফটোগ্রাফিতে এখন অনেকেই ভারী ডিএসএলআর না নিয়ে স্মার্টফোনে নির্ভর করছেন। সাম্প্রতিক সময়ে বাজারে আসা ডিভাইসগুলো টেলিফটো ও পোর্ট্রেট অভিজ্ঞতাকে এমনভাবে এগিয়ে নিয়েছে যে দূরের দৃশ্য, দ্রুত মুহূর্ত কিংবা কম আলো—সব ক্ষেত্রেই মোবাইল ক্যামেরা কার্যকর হয়ে উঠছে।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, এক্স৩০০ প্রো–এর মতো স্মার্টফোনে ২০০ মেগাপিক্সেল টেলিফটো ক্যামেরা, সিআইপিএ রেটেড গিম্বেল স্টেবিলাইজেশন ও আল্ট্রা–সেন্সিং সেন্সর যুক্ত হয়েছে, যা জুম রেঞ্জে স্থির ও ডিটেইলসমৃদ্ধ ছবি তোলা সহজ করে। এমন গিম্বেল স্টেবিলাইজেশন চলমান বা দূরত্বভেদে কাঁপুনিভরা ফ্রেমকে স্থির রাখতে বিশেষভাবে সহায়তা করে।
প্রাকৃতিক দৃশ্য ও ল্যান্ডস্কেপ ধারণে বড় সেন্সরযুক্ত মূল ক্যামেরা এখন মানুষের চোখে দেখা রঙের মতোই ডায়নামিক রেঞ্জ ধরে রাখতে পারে। মাল্টি–ফোকাল পোর্ট্রেট, উচ্চ রেজোলিউশন ওয়াইড এঙ্গেল সেন্সর ও মোশন স্ন্যাপশট প্রযুক্তি বিভিন্ন ধরনের শটে আরও নিয়ন্ত্রণ ও গভীরতা আনে।
এখন ভ্রমণ, ব্লগিং বা দৈনন্দিন ডকুমেন্টেশনের জন্য আলাদা ক্যামেরা ছাড়াই উচ্চমানের আউটপুট তৈরি করতে সক্ষম। ইমেজ প্রসেসিংয়ে ডেডিকেটেড চিপ ব্যবহারের কারণে নয়েজ কমানো, ফোকাস নির্ণয় ও রঙের সঠিকতা আরও উন্নত হয়। উদাহরণস্বরূপ, এক্স৩০০ প্রো–এ ব্যবহৃত আলাদা ইমেজিং চিপ দ্রুত পোর্ট্রেট প্রক্রিয়ায় বড় ভূমিকা রাখে।
সফটওয়্যার ও সিস্টেম অভিজ্ঞতাও এখন আরও সমৃদ্ধ। নতুন অপারেটিং সিস্টেমে স্মুথ অ্যাপ সুইচিং, মাল্টি–ডিভাইস নোট সিঙ্ক, রিমোট কন্ট্রোল ও স্ক্রিন মিররিংয়ের মতো সুবিধা বাড়ছে। পাশাপাশি বড় ব্যাটারি, দ্রুত তারহীন চার্জিং, উন্নত ডিসপ্লে কালার ও IP রেটিং—এসব মিলে দীর্ঘ সময় ছবি তোলা, ভিডিও করা বা ভ্রমণজুড়ে ডিভাইস ব্যবহার সহজ হয়েছে।
সব মিলিয়ে, মোবাইল ফটোগ্রাফির দ্রুত অগ্রগতি এখন অনেক ভ্রমণকারীর জন্য আলাদা ক্যামেরা বহনের প্রয়োজনীয়তা কমিয়ে দিচ্ছে। বর্তমান প্রজন্মের ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোনগুলো টেলিফটো, পোর্ট্রেট ও ভিডিও—এক ডিভাইসে বহুমাত্রিক ফটোগ্রাফির সমাধান।